এই ভাষ্কর্যটি ইতিহাস ও স্বাধীনতার একটি অংশ।

সুমনসেন চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি-

এই ভাষ্কর্য হানাদারদের বর্বরতার ইতিহাস তুলে ধরেছে।এটা যেই দেখবে সেই আত্নউপলব্দি করতে পারবে যে অথবা নতুন প্রজন্ম আমাদের কাছে প্রশ্ন রাখবে,
এই নেতা বা এ মু্রব্বীরা এর নির্মম ইতিহাসটা আসলে কি?
আমরা তাদের প্রশ্নের জবাবে কি বলবো বলার ভাষা আমাদের আছে বলুন,
নেতাদের কেউ জানেন কিনা জানলে ভালো করে ছোটদের বুজিয়ে বলবেন আপনারা না বললে তারা শিখবে কার কাজ থেকে,
আর আপনারা না জানলে মুজিব ভক্ত মুরব্বিদের কাছ থেকে জেনে নিন মনে কিছু নিবেন না।
তবে আমি যাহা জানি একটু বলি তাহল শুনুন,
এটা সেই ১৯৭১ সনে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এইদেশের রাজাকারদের সহযোগীতায়,
বাংলাদেশের আমার আপনাদের মা বোনদের রাস্তাগাটে বাড়িতে গিয়ে ঘরে ডুকে রাস্তার উপরে প্রকাশ্য এইভাবে কাপড় খুলে উলঙ্গ করে রাস্তার উপরে সবার সামনে নির্যাতন করতো আমার আপনার মাকে এই সেই ছবির নমুনা।

এই ভাষ্কর্য বাঙ্গালীর একটি ইতিহাস প্রেক্টিক্যালী তোলে ধরেছে যা ইতিহাস পাঠ করে এত সহজে সবাই উপলব্দি করা সম্ভব নয়, যতটা এভাবে বুজবেন বা শিখবেন।

স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে যখন বিজ্ঞানের ছাত্রদের প্রেকটিক্যাল ক্লাস শিখানো হয় তখন শিক্ষক বিজ্ঞানের নানান উপকরন হিসেবে মানব বডির ভাষ্কর্যগুলো ছাত্রদের প্রদর্শনেরর জন্য আনা হয় যাতে তারা সহজে বিষয়টি আয়ত্ব করতে পারে এবং বুজতে পারে,
এখন একজন বিজ্ঞানের ছাত্রকে হিউমেন স্ট্রাকচার শিখাতে হলে একটা মানুষকে প্রেকটিক্যাল এর জন্য কাপড় খোলে প্রদর্শন করা হলে উনি যারপরনাই লজ্জিত হবেন।
প্রসঙ্গ এখানে নয় বরং অনেক রোগের চিকিৎসা হিসেবে হারাম পদার্থও মানুষের রোগ নিরাময়ে কাজে লাগে। হারাম পদার্থটি রোগ নিরাময়ের স্বার্থেও হালাল।
মদও অনেক সময় রোগের অনেক নিরাময়ের জন্য হালাল হিসেবে গণ্য করা হয়।তবে সেটা কেবল চিকিৎসার স্বার্থেই প্রযোয্য।
তেমনি মানব সমাজকে পরিচালিত করতে,সামাজিক সম্পর্কের ধারার ইতিহাস শিক্ষায় ভাষ্কর্য অনন্য ভুমিকা পালন করে।
ভাষ্কর্য,ছবির অংকন কোন ইতিহাসের বর্ণনা করছে ছবি তোলা এমনিতেই হারাম।তারপরও মানব কল্যান ও নিরাপত্তার স্বার্থে ছবি কাউকে চিহ্নিত করতে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করছে।
এমন ভাষ্কর্য প্রতিস্থাপন করা উচিত নয় যা সামাজিক শৃঙ্খলা ধ্বংস করে,সহিংসতার উদ্দিপনা জাগায়।
এমন একটি ভাষ্কর্য তৈরি করা হলো যেখানে একজন মুসল্লীকে নামাজের সূরতে রাখা হলো।
এই ভাষ্কর্যের উদ্দেশ্য ভাষ্কর্য্যকে পূজা করা নয় বরং নামাজের প্রতি মুসলীমের আদর্শ কেমন থাকা উচিত সেটাই শ্মরন করিয়ে দিচ্ছে।
এগুলো শিক্ষনীয়,ঐতিহাসিক প্রমানপঞ্জি হিসেবে ভাষ্কর্য তৈরি করা হয়।
অতএব অতিরিক্ত ইমান দেখান যারা তাদের নিজেদের ইমানের গুরি ঠিক আছেকিনা,
অবষেশে বলবো দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে বাংলাদেশের সকল মহান জ্ঞানী ধার্মিক বুজুর্গরা ,
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলে সমাধান করে ফেলুন অযাতা দেশের ক্ষতি করবেন না,
এই দেশটা স্বাধীন করতে আপনারা সবাই কষ্ট করেছেন দুই ২ লক্ষ ৬৬ হাজার মা-বোনের ইজ্জত ৩০ লক্ষ মানুষের রক্তের বিনিময় এ দেশ স্বাধীন হয়েছে।
তাই আর বিতর্ক করবেন না এই ভাস্কর্যের ছবি দেখে সব বুজে নিন, বিষেশ অনুরোধ করছেন -; এই বাংলার স্বাধীন পেমি মুজিব ভক্ত ছোট বড় মুরব্বিরা এবং মুক্তি যোদ্ধা ও তাদের সন্তানেরা।